Sunday, November 16, 2025

গরীব ছেলের সততা এবং বড় কোম্পানির মালিক হওয়ার গল্প

 গরীব ছেলের সততা এবং বড় কোম্পানির মালিক হওয়ার গল্প


ঢাকার এক কোণে পুরনো গলির ভাঙাচোরা ঘরে জন্ম নেয় রাব্বি। জন্মের পর থেকেই তার জীবনের KPI মোটামুটি লাল রঙের চিহ্নে ভর্তি—দারিদ্র্য, সংগ্রাম, অভাব, আর একটু একটু করে তবুও মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর তাগিদ। ছোটবেলা থেকেই সে জানত, “একটা সত্য কথা একটা পুরো জীবন পাল্টে দিতে পারে।”


রাব্বির বাবা ছিলেন রিকশাওয়ালা, মা বাসায় সেলাই করতেন। পেটের দায়ে ক্লাস ফাইভ থেকেই রাব্বি বাজারে ব্যাগ বহনের কাজ করত। কিন্তু ছেলেটার ভিতরে ছিল অদ্ভুত এক সততা। যা করা উচিত নয়—সেটা সে করত না, এমনকি সামনে টাকার বান্ডিল পড়ে থাকলেও তার চোখের পুতলি নড়ত না।


একদিন বাজারে কাজ করার সময় এক ধনী লোকের মানিব্যাগ পড়ে যায়। ভিতরে প্রায় দুই লাখ টাকা, ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ নথি আর বেশকিছু কার্ড। রাব্বির সামনে তখনো কেউ ছিল না—সে চাইলে মানিব্যাগটা নিজের পকেটে পুরে ফেলতে পারত। কিন্তু না, রাব্বি জানত, নিজের চরিত্রের KPI যদি নষ্ট হয়, তবে জীবনেও গ্রোথ আসবে না।


সে লোকটাকে খুঁজতে খুঁজতে আধা বাজার চষে ফেলল। শেষে যখন মানিব্যাগের মালিককে পেল, লোকটা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল—


“এত টাকা ছিল, তুমি একটাকাও নিলে না?”


রাব্বি হেসে বলল,

“স্যার, টাকার মালিক আপনি, আমি না। ভুল জায়গায় যাওয়া টাকা কখনো সুখ দেয় না।”


ব্যস! এখানেই গল্পের টার্নিং পয়েন্ট।


লোকটির নাম ছিল সাইদুর রহমান—একটা বড় আমদানি-রপ্তানি কোম্পানির মালিক। সততার এমন লাইভ ডেমো দেখে তিনি রাব্বিকে নিজের কোম্পানিতে কাজের অফার দিলেন। রাব্বি তখনো ছোট, কিন্তু তার চোখে আগুন, আর মাথায় অদ্ভুত এক দৃঢ়তা।


কোম্পানিতে ঢোকার পর থেকে রাব্বি একটাই জিনিস করত—শেখা সবকিছু, আর ভুলে যাওয়া কিছুই না।

ডাটা এন্ট্রি দিয়ে শুরু, পরে অ্যাকাউন্টস, তারপর সাপ্লাই চেইন, তারপর মার্কেটিং—সব জায়গায় সে বাজিমাত করতে লাগল।


লোকেরা বলত,

“এই ছেলেটা শুধু কাজ করে না—কাজের সোলটা বুঝে ফেলে।”


সময়ের সাথে সে কোম্পানির সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য কর্মচারী হয়ে উঠল। সাইদুর রহমান তাকে নিজের ছেলের মতো দেখতেন।


কিন্তু গল্পের আসল ক্লাইম্যাক্স আসে হঠাৎই।


একদিন কোম্পানিতে বড় ধরনের সমস্যায় পড়ে—বহু কোটি টাকার লস, ভুল সিদ্ধান্ত, আর পার্টনারদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। সবাই যখন ভয়ে প্যারালাইজ, রাব্বি তখন শান্ত থেকে পুরো প্রক্রিয়ার অডিট করে সত্যিটা সামনে আনে।


“স্যার, যাদের ওপর ভরসা করেছিলেন, আসলে তারাই আপনাকে ঠকাচ্ছিল।”


রাব্বির এই সাহসী রিপোর্ট কোম্পানিটাকে দেউলিয়া হওয়া থেকে বাঁচাল।

সাইদুর রহমান বুঝলেন—যে ছেলেটা দুই লাখ টাকায় প্রলুব্ধ হয়নি, সে শত কোটি টাকায়ও বিক্রি হবে না।


বয়স বাড়ার সাথে সাথে রাব্বি কোম্পানির ডানহাত হয়ে উঠল, আর একসময় সাইদুর রহমানের একটাই সিদ্ধান্ত—


“এই কোম্পানির ভবিষ্যৎ রাব্বির হাতে।”


অবশেষে রাব্বিকে নিজের পুরো কোম্পানি হস্তান্তর করে দেন তিনি।

গরিব ছেলের গল্প এখানেই বদলে যায়।


রাব্বি এখন একটি দেশের অন্যতম সম্মানিত কোম্পানির মালিক—সততা, পরিশ্রম, আর মানবিকতার মিশেলে তৈরি এক লিজেন্ডারি যাত্রা।


তার সাফল্য দেখে কেউ উৎসাহ পায়, কেউ অনুপ্রাণিত হয়, আর কেউ আবার ভাবে—


“দুনিয়ায় এখনও ভালো মানুষ আছে… আর তারা একদিন না একদিন জয়ী হবেই।”


রাব্বি আজও নিজের অফিসের দেয়ালে সেই বাক্যটা টাঙিয়ে রেখেছে—

“সততা দিয়ে শুরু করো, সাফল্য নিজেই তোমাকে খুঁজে নেবে।”


ব্যাকলিংক


🔗 www.panda-fog.com

🔗 www.imagedoorz.com

🔗 www.aimesbd.com

🔗 www.patripatro.com

🔗 www.towfiq.xyz

www.biopesticide.one


হ্যাশট্যাগ


#HonestyFirst #SuccessJourney #LifeChangingStory #TowfiqWrites #AmbitionToReality #StartupMindset #InspireBangladesh #BusinessJourney

No comments:

Post a Comment

Why Every Employer & Startup Needs a Strong Digital Identity

  Why Every Employer & Startup Needs a Strong Digital Identity — And How Panda-Fog.com Connects You to the Perfect Branded Domain In th...